শিক্ষা বোর্ড কর্মচারীর চোখ উৎপাটনের চেষ্টা
এম অহিদুজ্জামান ডিউক ,প্রতিনিধি বাউফল ঃ উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, “ভয় নাই, ওরে ভয় নাই- নি:শ্বাসে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।” ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল মাসে রাস্ট্র ও ব্যক্তি মালিকানাধীন দুই বাসের রেষারেষির সংঘর্ষে রাজধানীর সার্ক ফোয়ারার সামনে একটি হাত হারান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী পটুয়াখালী জেলার বাউফলের রাজিব। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারনে ১৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ওই ঘটনার পরে রাজিবের অভিভাবক মামা মিরাজ, জাহিদুল ও খালা খাদিজা সহ পরিবারের ৭জনকে রাস্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী দিয়ে তাদের দায়িত্ব নেয় সরকার। মিরাজ হোসেকে নিয়োগ দেয়া দেয়া হয় বাংলাদেশ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অধিদপ্তরের একজন কর্মচারী হিসাবে। অসুস্থ্য শিশু সন্তান আলিফ (৭) কে দেখার জন্য লকডাউনে বাড়িতে আসেন মিরাজ। ফোন করে স্ত্রীকে শিশু পুত্রকে নিয়ে বাড়ীতে আসতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী নূপুর আক্তার জানায়, তার ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে ৫লক্ষ টাকা দিলে তবেই বাড়ি যাবে। উপয়ান্তর না পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য ইফতার শেষে রাত আটটার দিকে শ্বশুর বাড়ী পৌছান। শ্বশুরের ঘরে ঢুকেই পরকীয়া প্রেমিক হাবিব হোসেনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন স্ত্রীকে। মুহুর্তেই প্রেমিকাকে নিয়ে ঘরের ভিতর মিরাজকে আটকিয়ে ফেলে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায়। সাথে যোগ দেন শ্বাশুরী রেহেনা বেগম। ডাকচিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপতালে নিয়ে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডাক্তার তপন কুমার বিশ্বাস জানান, চোখের অবস্থা আশংকাজনক, উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল আই হসপিটালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে শ্বশুর সোহরাব হোসেন জানান, জামায়ের সাথে কন্যার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিন্তু এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে আসা করিনি। বাউফল থানার ওসি আল মামুন (ভারপ্রাপ্ত) জানান, আহতের স্বজনরা অভিযোগ দিয়েছে, আমরা অভিযোগ গ্রহন করেছি।
Comments (0)
Facebook Comments (0)